Bikes Compare

কিভাবে আপনার মোটরসাইকেল পরিষ্কার রাখবেন?

কিভাবে আপনার মোটরসাইকেল পরিষ্কার রাখবেন?

September 19, 2021

বাংলাদেশে রাস্তাঘাটে প্রচুর ধূলাবালি আর কাদামাটি রয়েছে। রাস্তায় চলতে গেলে আপনার মোটরসাইকেলে ধূলাবালি আর কাদামাটি লাগবেই । আর এই ধূলাবালি আর কাদামাটি বাইকের জন্য প্রচুর ক্ষতিকর। তাই মোটরসাইকেল ভাল রাখার জন্য আমাদের মোটরসাইকেলটিকে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিৎ। না হলে বাইকের বিভিন্ন পার্টসে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধূলাবালি সাধারণত বাতাসে ভেসে বেড়ায়, যেকারণে বাইক চালানোর সময় অটোমেটিক কিছু ধুলাবালি বাইকের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়ে । এই ময়লা আবর্জনা ও ধূলাবালি হল বাইকের সব পার্টস সহ বিশেষ করে ইন্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

আমরা মোটরসাইকেলকে ধোয়ার চেয়ে বেশি চালাতে পছন্দ করি। মোটরসাইকেল পরিষ্কার করা আমাদের জন্য খুব কঠিন একটি কাজ। আর এই কঠিন কাজটির কিছুটা সহজ করতেই আমাদের এই প্রচেষ্ঠা ।

এই লেখায় আজ আমি আপনাদের মোটরসাইকেল ধোয়ার কতগুলো সহজ টিপস নিয়ে আলোচনা করব।

১। ট্যাঙ্ক ব্যাগ, মালপত্র ও অন্যান্য জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। লক্ষ রাখুন যাতে এগুলো না ভিজে। আপনার ধোয়ার ও পরিষ্কার করার জিনিসগুলো প্রস্তুত করে নিন।

২। কটি বালতি, সাবান ও লিকুইড ডিটারজেন্ট, ডিগ্রিসার ও ইঞ্জিন ক্লিনার, টুথব্রাশ, হুইল পরিষ্কার করার জন্য একটি ব্রাশ, টায়ার ক্লিনার, কমপক্ষে দুইটি ছোট নরম আশজাতীয় নেকড়া, ১০০% কটন স্পঞ্জ, বিভিন্ন নরম কটন অথবা ছোট আশজাতীয় নেকড়া, রং পালিশ, মেটাল পালিশ, শক্ত জিনিসপত্র ঘষার নেকড়া ও শুকানোর জন্য মোটা কাপড় সাথে রাখুন।

৩। লং ড্রাইভের পর সাথে সাথে ধুতে যাবেন না। বাইকটিকে ঠান্ডা হওয়ার জন্য সময় দিন, কারণ আপনি অবশ্যই গরম ইঞ্জিনের মধ্যে ঠান্ডা পানি দিয়ে স্প্রে করতে চাইবেন না।

৪। দিনের মধ্যভাগে বা সরাসরি সূর্য্যের আলোতে ধোয়া বর্জন করুন যেহেতু তাপের কারণে ডিটারজেন্ট বাইকের উপরিভাগেই শুকিয়ে যায়।

৫। খুব বেশি পরিমাণ পানি ব্যবহার করবেন না।

৬। পালিশ করার ক্লিনার বা গৃহস্থালিতে সাধারণ উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহৃত ক্লিনারগুলো ব্যবহার করা থেকে সতর্ক থাকুন কারণ এগুলো বাইকের রংয়ের ক্ষতি করে।

৭। যদি কোন হাঁই প্রেশার ক্লিনার ব্যবহার করেন তাহলে এটিকে যন্ত্রাংশ, ইলেক্ট্রনিক্স, চেইন, এবং ভিনাইল সিটের থেকে দূরে রাখুন যা প্রেসারাইজড পানির কারণে ছিরে যেতে পারে।

মোটরসাইকেল আমাদের কাছে অনেক ভালবাসার বাহন। তাই এটার যত্ন নিতে প্রতিদিন একটু সময় দিন। দেখবেন আপনার প্রিয় বাইকটি অনেক ভারো সার্ভিস দিচ্ছে। আশা করি উপরোক্ত পদ্ধতি ও সাবধানতা সমুহ আপনার অনেক উপকার আসবে এবং আপনার কাজকে অনেক সহজ করে দিবে।

Comments (0)